শিক্ষা মানুষের মৌলিক অধিকার। দেশ—জাতিকে গড়ে তোলাই সকল শিক্ষার মূল উদ্দেশ্য। সমাজ ও রাষ্ট্র গঠনের জন্য এবং উন্নতজীবন গড়ার জন্য সুশিক্ষার প্রয়োজন। মানবিক মূল্যবোধ, চারিত্রিক উৎকর্ষ ও মনুষ্যত্ব বিকাশের জন্য এবং বর্তমান বিশ্বে টিকে থাকার জন্য সুশিক্ষা অতীব প্রয়োজন। সততা, ন্যায়নিষ্ঠা ও নৈতিকমূল্যবোধে উজ্জীবিত একটি মেধাবী প্রজন্ম সৃষ্টিতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক—কর্মচারী, ম্যানেজিং কমিটি ও অভিভাবকের রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। সৎ, যোগ্য ও নৈতিক গুণের অধিকারী শিক্ষকই গড়ে তুলতে পারেন উন্নত, দক্ষ, মেধাসম্পন্ন সৃজনশীল ও মুক্ত চিন্তার আলোকিত মানুষ। আর এ লক্ষ্যকে বাস্তবায়নের তাগিদে আমি সুনির্দিষ্ট কর্ম—পরিকল্পনা প্রনয়ণ ও বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিয়েছি যার অধিকাংশ বাস্তবায়িত করেছি। বর্তমান শিক্ষানীতি, সর্বাধুনিক পাঠ্যক্রম, সৃজনশীল পদ্ধতির প্রয়োগ, অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রম ও তথ্য প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহারে বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় এক যুগান্তকারী পরিবর্তন সাধিত হয়েছে। শিক্ষা ব্যবস্থায় এ পরিবর্তনের সুফল পেতে হলে প্রয়োজন মেধাবী ও প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত আধুনিক শিক্ষা উপকরণ ব্যবহারে (ডিজিটাল কন্টেন্ট ব্যবহার করে অনলাইন ও অফলাইন ক্লাস নেওয়ার দক্ষতা) পারদর্শী, দক্ষ ও অভিজ্ঞ শিক্ষক মন্ডলী। আশার কথা আমাদের বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষক প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত, দক্ষ ও পারদর্শী। অতিমারী কোভিড—১৯ পরবর্তী পরিস্থিতি বিশ্বব্যাপী ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। সকল শিক্ষার্থী ডিভাইস এডিক্টেড, পড়া—লেখায় অমনোযোগী হয়ে পড়েছে। শিক্ষার্থীদের লেখা—পড়ায় মনোযোগী করতে শিক্ষক এবং বাবা—মা কঠিন চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়েছেন। সরকারি ব্যবস্থাপনায় সকল শিক্ষক মানসিক স্বাস্থ্যসেবা বিষয়ক ফাস্টর্ এইড প্রশিক্ষণ করেছেন এবং জাতীয় শিক্ষাক্রম রূপরেখা—২০২১ এর কার্যক্রম ২০২৩ হতে সফলভাবে পরিচালনার জন্য প্রশিক্ষণ নিয়েছেন এবং নিচ্ছেন। সকল পরিস্থিতি মোকাবেলায় আমরা প্রস্তুত। আশা মানুষকে প্রত্যাশার শীর্ষে পৌঁছার প্রেরণা যোগায়। এ প্রেরণা থেকেই একটি আদর্শ অনুকরণীয় প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা আমার সারা জীবনের স্বপ্ন, যেখানে আধুনিকতার ছেঁায়া থাকবে, বিশ্ব শিক্ষার সংগে আমাদের শিক্ষার সংযুক্তি থাকবে, শিক্ষার্থীরা শিক্ষার সংগে জীবনের প্রতিচ্ছবি খুঁজে পাবে এবং আধুনিক প্রযুক্তি নির্ভর শিক্ষার প্রতিফলন ঘটবে। সামগ্রিক অর্থে আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থাকে নতুন আলোর ঠিকানায় পৌঁছে দেবার প্রত্যাশায় আমরা প্রতিদিন শিক্ষার জন্য কাজ করে যাচ্ছি। আমাদের প্রাণ—প্রিয় নেতা, আধুনিক রূপনগর—পল্লবীর রূপকার, ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার অন্যতম কারিগর, ঢাকা—১৬ আসন থেকে তিন তিনবার নির্বাচিত মাননীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লাহ্ আমাদের প্রত্যাশাকে বাস্তবায়িত করার জন্য অকৃপণ সহযোগিতা ও পৃষ্ঠপোষকতা করে যাচ্ছেন। শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর কতৃর্ক ৫ম তলার কাজ সম্পন্ন হয়েছে। নতুন ৬ তলা বিল্ডিং এর কাজ চলমান। তৈরি হয়েছে নয়নাভিরাম নতুন গেইট, আধুনিক অডিটোরিয়াম। শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব ব্যবহার করে শিক্ষার্থীরা তথ্য প্রযুক্তিতে পারদর্শী হচ্ছে। ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের জন্য স্থাপন করা হয়েছে বিভিন্ন রাইড সমৃদ্ধ পার্ক। আমি সকল শিক্ষক—কর্মচারীর পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির দায়িত্ব গ্রহণ করে বিদ্যালয়ের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার জন্য মিসেস ফরিদা ইলিয়াস— কে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি। সেই সাথে গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি, পল্লবী মাজেদুল ইসলাম মডেল হাই স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা শিল্পপতি মরহুম আলহাজ্ব জহুরুল ইসলাম, তাঁর ছোট ভাই মরহুম মাজেদুল ইসলাম, প্রতিষ্ঠা কমিটির সভাপতি মরহুম আলহাজ্ব আব্দুল করিম, সাবেক সংসদ সদস্য আলহাজ্ব হারুণ—অর—রশীদ মোল্লাহ্ এবং প্রতিষ্ঠা কমিটির সদস্যবৃন্দকে। পরিশেষে দৃঢ়তার সাথে বলতে চাই, শিক্ষার্থীদের আদর্শ মানুষ হিসেবে গড়ে তোলাই আমাদের ভিশন ও মিশন। আমি আমার লক্ষ্যে অবিচল। আল্লাহর অশেষ রহমত ও সকলের সহযোগিতায় উত্তরোত্তর সফলতা আসবেই ইনশা—আল্লাহ্। মোহাম্মদ শহীদ উল্লাহ্ প্রধান শিক্ষক